
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
লোকবল সংকট, অপর্যাপ্ত আবাসন, ডাইনিংয়ে খাবারের নিম্নমান, ইণ্টারনেট সমস্যা, ক্যাম্পাসে মাদক ও চোরের উৎপাত নিয়ে বিপাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম। এইসব বিষয়ে রাবি প্রশাসনের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নাই। আমাদের প্রতিবেদক এই বিষয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ গোলাম সাব্বির সাত্তার এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ আছে।
সব বিতর্ক ছাপিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি আশা করেন, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। খোঁজ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদক জানতে পারেন যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান স্যারের বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে রাবি’র সামগ্রিক নিয়োগ কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন এই কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে জনবল সংকট দেখা দেয়। গুটি কয়েক শিক্ষক, কর্মচারী নিয়ে চলছে ৩টি ইনস্টিটিউট, ৫টি বিভাগ।
ইহা ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে বিভিন্ন দফতরে। অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে রাবি মেডিকেল সেণ্টার। এখানে কোন গাইনী চিকিৎসক নাই। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা, কর্মচারীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। গত ২বৎসর আগে এই মেডিকেল সেণ্টারে ১৩ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে এই নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর এর তথ্যমতে, বর্তমানে রাবি’র মোট ১ হাজার ৪৯০ সৃজিত শিক্ষক পদের মধ্যে শূন্য পদ ৪৩৫ টি।
৭৯২ জন কর্মকর্তার মধ্যে শুন্য পদ আছে ২০০ টি। সহায়ক কর্মচারী ১ হাজার ৪২ জনের মধ্যে শ‚ন্য পদ ২৫১ টি। ১ হাজার ৯০৯ জন সাধারণ কর্মচারীর মধ্যে শূন্য পদ আছে ৯০৯ টি। বিভাগ, দফতর ছাড়াও রয়েছে রাবি’র আবাসিক হল গুলিতে নানা সমস্যা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতিবেদককে জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলিতে আসন সংখ্যা সীমিত। ইহার ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গাদাগাদি করে থাকতে হয় এই আবাসিক হল গুলিতে।